প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা শিশু শিক্ষার মূল ভিত্তি ও চাবিকাঠি
যেহেতু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শিশু শিক্ষার মূল ভিত্তি, তাই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ সালে শিশুদের মানষিক বিকাশ এর আলোকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে একটি আলাদা ও পৃথকশ্রেণি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন
নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি এক বছর থেকে দুই বছর করা হয়েছে। মেয়াদান্তে ছয় বছর পূর্ণ হলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করবে। বিভিন্ন শিশু ভিন্ন ভিন্ন ভাবে শেখে আবার খেলাচ্ছলেও শেখে।
বিগত বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে অনুষ্টিত এনসিসিসি সভায় নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়টি সংযোজিত করে তা অনুমোদিত হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
এনসিটিবি এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক জনাব মোঃ ফরহাদুল ইসলাম বলেন যে, এতদিন আমাদের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি ছিল এক বছরের যা পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া শিশুরা বা শিক্ষার্থীরা পড়ত, কিন্তু এখন অনুমোদিত কারিকুলামে চার বছর বয়সী শিশুরা দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তি হবে।
তিনি আরও বলেন যে, সংশ্লিষ্ট শ্রেণির টেক্সবুকের চেয়ে টিচিং লার্নিং ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে খেলাচ্ছলে শিখবে এবং টিচিং লার্নিং মেথডটাও চিত্তাকর্ষক, হৃদয়গ্রাহী ও মনোমুগ্ধকর হবে যাতে শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত, উচ্ছল ও বাস্তবে শিখবে।