ক্লাস টেস্ট ও বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি -২০২২
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা ৬০ ও শ্রেণি পরীক্ষা ৪০ নম্বর নেয়ার সিদ্ধান্ত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থি বলতে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রিদের তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা বা বার্ষিক পরীক্ষা ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হবে।যেটা কিনা ১ম সাময়িক ও২য় সাময়িক পরীক্ষার পরে নেওয়া হয়েছিল।এমন মন্তব্য করে তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা বা বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এজন্য ৬০ নম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা ও সপ্তাহান্তে প্রতিটি বিষয় ভিত্তিক প্রতিটি পরীক্ষা,৫✕২০= ১০০ নম্বর। এর ৪০% হিসেবে প্রাপ্ত নম্বর ও ৩য় প্রান্তিক (চূড়ান্ত) ৬০ এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর,শেষে প্রতি বিষয়ের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রকাশ থাকে যে,১ম ,২য়, ৩য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রণির প্রতিটি বিষয় হিসেবে প্রতি বিষয় পরীক্ষার নম্বর ২০ যেমন-বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়,প্রাথমিক বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা।বাংলাদেশে মোট ৬৫ হাজারেরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিষয় ভিত্তিক শোনা, বলা, পড়া ও লেখার দক্ষতা, জ্ঞানের প্রয়োগ আর দক্ষতা পরিমাপ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব মোঃ কামাল হোসেন বলেন যে, উন্নয়ন পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগে প্রচলিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে।তিনি আরও জানান যে, NCTB এর মতামতের ভিত্তিত্তে কিছু পরিবর্তন এনেছি।এজন্য বার্ষিক পরীক্ষা ৬০ ও শ্রেণি পরীক্ষা ৪০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থিদের মূল্যায়ন করা হবে।
আগামি বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সম্ভাবনা আছে।এতে ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থিদের পরীক্ষা থাকবেনা।তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
প্রত্যেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক গণ নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে ফলাফল ঘোষনা করবেন এবং শিক্ষার্থির অভিভাবকদের হাতে ফলাফল তুলে দিবেন।