হার্ট এটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা heart attack

হার্ট এটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা heart attack

হৃদপিন্ড সমস্ত শরীরে রক্ত সরবরাহ ক্রিয়া সম্পাদন করে থাকে।হৃদপিন্ডে করোনারী আর্টারি নামে ছোট দুটি ধমনী আছে করোনারী আর্টারি তে কোলেস্টেরল জমে ধমনীর রক্ত প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে হৃদযন্ত্রে রক্ত স্বল্পতা ঘটায় এবং অক্সিজেনের স্বল্পতার কারণে ব্যাঘাত ঘটে ফলে হার্ট এটাক হয়।


আমাদের হৃদপিন্ডে রক্তের প্রবাহ বা গতি কমে গেলে ব্লকেজ দেখা দিলে মানুষ হার্ট এটাক হয়। ধমনীতে কোলেস্টেরল বা চর্বি বৃদ্ধির কারণে রক্ত প্রবাহে  বাঁধা পায় ।হৃদরোগ একটি ঘাতক ব্যাধি যা রোগীও বুঝতে পারে না। এজন্য হার্ট এটাকের উপসর্গ বা অনুসর্গ দেখা দিলে  তখনি  ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া  উচিত।


বিশেষজ্ঞ বা কন্সাল্টেন্ট এর মতে হার্ট এটাকে আক্রান্ত হওয়ার অনেক ইঙ্গিত বা সংকেত বোঝা যায়।
১। বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
২। দাঁত বা চোঁয়ালে ব্যথা হয়।
৩। শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
৪। বেশি বেশি ঘেমে যায়।
৫। গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
৬। মাথা ঘোরা শুরু হয়।
৭। অস্থির বোধ লাগে।
৮। বমি বমি ভাব লাগে।

যাঁরা কার্ডিওলজিস্ট তাঁরা মনে করেন যে, সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি সবচেয়ে তিন বারের মত হার্ট এটাকে আক্রান্ত হতে পারে আর যে কোন বয়সের মানুষকে আঘাত করতে পারে। তবে পরীক্ষায় জানা গেছে ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ৫৫ বছর বয়সী মহিলাদের হার্ট এটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।


১। শরীরের ওজন কম ও নিয়ন্ত্রণে রাখা ।
২। ধুমপান বা তামাক জাতীয় কোন কিছু পান না করা।
৩। অ্যালকোহল বা মদ জাতীয় পানীয় পান না করা ।
৪। চিনি, লবণ,তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা।
৫। সব ধরণের ফল ও সবজি খাদ্য মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করা।
৬। নিয়মিত ব্লাড প্রেসার পরিমাপ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৭। নিয়মিত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৮। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাটা, দৌঁড়া, এক্সারসাইজ  বা যোগ ব্যায়াম করা ।
৯। দুশ্চিন্তা না করে ট্যানশনমুক্ত থেকে আনন্দ-বিনোদন করা ও এতে অংশগ্রহন করা।
১০। সবশেষে, সব সময় হাসি-খুশি থাকা।


১। হার্ট এটাক এর লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে জোড়ে জোড়ে কাশতে বল্বেন।এতে তার হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়।
২।জিহবার নিচে নাইট্রেট ট্যাবলেট  আর আ্যস্পিরিন ট্যাবলেট ঔষধ দিতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী  ঔষধ খাওয়াতে হবে। 
৩। এমনভাবে রোগীর বুকে চাপ দিতে হবে যেন তার হার্টে পাম্প হয় আর তা না হলে যত দ্রুত সম্ভব হার্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
৪। রোগীকে বিছানায় না শুইয়ে বুক বা পিঠের পিছনে বা সামনে নরম বালিশ ঠেস দিয়ে রাখতে হবে।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url