মাটির নিচে রহস্যময় গুহা Mysterious underground cave
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি গুহা আবিষ্কৃত হয়েছে যা ছড়িয়ে আছে মাইলের পর মাইল।এর শেষদিক এখনও খুঁজে পাওয়া যায় নি।এটি ২২২ কিলোমিটারের মত দীর্ঘ যা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্বের সমান।
গুহার ভিতরে সন্ধান পাওয়া গেছে সবুজ পানির জলাশয় আর নানা আকারের ক্রিস্টাল।রহস্যময় এ গুহার নাম "লেচুগুইলা" এতদিন কেউ এটির খবর পায়নি আর গুহাটি যে এত বড় এটাও কেউ আবিষ্কার করতে পারে নি।
এক অভিযাত্রী দল ১৯৮৬ সালে এই গুহাটি আবিষ্কার করেন আর তাঁরাই এই গুহাটির নাম দেন "লেচুগুইলা"।
এখানে "লেচুগুইলা " নামে এক ধরণের উদ্ভিদ পাওয়া গেছে এটির নামে এর নামকরণ করা হয়।
প্রথমে এটি সম্পর্কে কারোরই তেমন ধারণা ছিল না। পর্যবেক্ষক দল যত ভিতরেযাচ্ছিলেন ততই এর দৈর্ঘ্য বেড়ে যাচ্ছিল।এখন পর্যন্ত এ অভিযাত্রী দল ২২২ কিলোমিটার দূরত্ব আবিষ্কার করেছেন।গুহার আকার যদিও রহস্যময় কিন্তু ক্রিস্টাল এর দেয়ালগুলো অদ্ভুত আকারের।
এর দেয়ালগুলো প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি ও খাঁজকাটা।এগুলো পর্যটকদের চমকে দেয়ার মত ঘটনা।তাছাড়া বিভিন্ন আকৃতির ক্রিস্টালগুলো দেখতে ফুলের মত আবার কোন কোনটি বিশাল প্রাসাদের থামের মত।
পর্যবেক্ষকগণ পরীক্ষা করে বুঝেছেন এই ক্রিস্টালগুলো এক ধরণের খনিজ লবণ বা জিপসাম থেকে তৈরি। এগুলো চুনাপাথর থেকে রূপান্তরিত হয়েছে আর মাইল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।জিপসামের দ্বারা তৈরি এই নক্সাগুলো কিভাবে তৈরি হয়েছে তা এখনো রহস্যময়।
"দ্যা ভয়েডস " এক বিশেষজ্ঞ দল গুহার ভিতর ৮ দিন ধরে অভিযান চালানো এমনকি তাঁরা এর ম্যাপও তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু এ "লেচুগুইলা" গুহার কাজ ছিল অত্যন্ত দূর্বোধ্য।
গুহার ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় পানি ও জলাশয় পাওয়া গেছে যা সবুজ ও স্বচ্ছ।
অভিযাত্রী দল প্রচণ্ড বাঁধার মধ্যে পড়েছিলেন এর দেয়ালগুলোর কারণে।দেয়ালগুলোর পাথরগুলো সুন্দরভাবে সাজানো এবং এ পাথরগুলো পানি নয় বরং সালফিউরিক এসিডের মাধ্যমে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে।
জিপসাম চুনাপাথরে পরিনত হয় সালফিউরিক এসিডের কারণে।ফলে জিপসাম গুলো নজর কাড়া সৌন্দর্য মন্ডিত এবং যে কেউ এগুলো দেখে মুগ্ধ আকৃষ্ট না হয়ে পারেন না।
এ গুহার ভিতরে একটি প্রাকৃতিক Room বা কক্ষের সৃষ্টি হয়েছে যার নাম পর্যবেক্ষক দল দিয়েছেন "স্যান্ডেলিয়ার বলরুম"।
গুহার ভিতর সূর্যের আলো একেবারে পৌঁছায় না ।জিপসামের তৈরি পিলারগুলো ২০ ফুট দৈর্ঘ্যেরও বেশি।এর সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষনে পরিণত হয়েছে।বিশেষজ্ঞগণ এটির রহস্য আবিষ্কারের জন্য এখনও গবেষণা করেই যাচ্ছেন।
মাটির নিচে প্রায় ৫০০ মিটার গভীর গুহা পৃথিবীতে অষ্টম দীর্ঘতম গুহা।এ গুহাটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত সেখানে কোন জন বসতি নেই এবং জন-মানব শুন্য। এজন্য ১৯৮৬ সালের আগে কোন পর্যটক দল এর সন্ধান খুঁজে পান নি।